সংবাদ শিরোনাম
পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ভাবচ্ছবির ধারক মো. মঈনউদ্দিন মঈন -মোঃ তারিকুল ইসলাম সেলিম

পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ভাবচ্ছবির ধারক মো. মঈনউদ্দিন মঈন -মোঃ তারিকুল ইসলাম সেলিম

আগামী ১৬ই নভেম্বর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন। এবার তিনি মুজিব আদর্শের প্রকৃত অনুসারী, একজন ক্লিন ইমেজ সম্পূর্ন দক্ষ সংগঠক, সাংগঠনিক কর্মকান্ডে বিশেষ পারদর্শী, পরীক্ষিত, কর্মীবান্ধব ও মেধাবী নেতা হিসেবে বিভিন্ন সূত্রে ও গণমাধ্যেমের চোখে স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি পদে মো. মঈনউদ্দিন মঈন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নজরে রয়েছেন। সারাদেশে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার আনাচে-কানাচে অসংখ্য নেতাকর্মী তাকে অনুকরণ করে। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। এব্যাপারে তিনি বলেন; আমাকে প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি করেছিলেন। এবারও আমি কোন প্রার্থী নয়; তবে তিনি যদি আমাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষপদে দায়িত্ব দেন তাহলে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে আরো পরিচ্ছন্ন ও শক্তিশালী সংগঠনে হিসেবে ঢেলে সাজাব…….ইনশাল্লাহ
পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করে জিয়া- মোস্তাকরা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। ১৯৮১ সালে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পরবর্তী দুঃসময়ের বঙ্গবন্ধুর কন্যার ছায়াসঙ্গী হয়ে যারা ছাত্রলীগের হাল ধরেছিলেন তাদের-ই একজন নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের অগ্রণী সংগঠক, রাজপথের অকুতোভয় সৈনিক মো. মঈনউদ্দিন মঈন। সাহসিকতা, সততা, আস্থা, বিশ্বাস, কর্তব্যপরায়ণ, ত্যাগের মহিমায় ছাত্র রাজনীতির ভাবচ্ছবির ধারক সন্দেহাতীত ভাবেই নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী মো. মঈনউদ্দিন মঈন। রাজনীতির বাঁকে বাঁকে কঠিন সময়েও প্রতিকুল পরিস্থিতি তিনি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্র রাজনীতির নিবেদিতপ্রাণ, মুজিব আদর্শের সৈনিক, অত্যান্ত সৎ, কর্মতৎপর, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, স্বৈরাচারী এরশাদদের পুরো শাসন আমলে জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাজপথ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধী আন্দোলনে কয়েকবার নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে গেছেন। জিয়া-এরশাদের রাজনৈতিক আদর্শে স্বীকৃত দুই কু-পুত্র অভি-নিরু ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর হামলা উদ্দেশ্যে অস্ত্র ভরা সুসজ্জিত অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে খবর পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা মঈনউদ্দিনের নেতৃত্বে অভির গাড়ী বহরের দিকে ছুটে যান। অবস্থার বে-গতি দেখে অভির ছুঁড়া শর্টগানের গুলি মঈনউদ্দিন মঈনের কানের সাইড দিয়ে মাঁথায় বিদ্ধ হয়। সেদিন ভাগ্যগুণে বিধাতা নিজের হাতে তাকে বাঁচিয়েছে। আজও তিনি সে যন্ত্রনা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর স্বৈরাশাসকের নির্যাতন, মামলা, হামলার ভয়ে যখন নির্বেকার তখন তিনি ছাত্রলীগের সকল কর্মীদের পাশে থেকে রাজপথে লড়াই করেছেন। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অন্দোলন করতে গিয়ে বার বার গ্রেফতার হয়ে মাসের পর মাস কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটিয়েছেন। ১৯৯০ সালে জীবনে প্রথম বারের মতো ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে জনপ্রিয়তার অগ্নি পরীক্ষায় মুখোমুখি হন মেনি পার্লামেন্ট খ্যাত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)র নির্বাচনে মিলনায়াতন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ছাত্রলীগ প্যানেলের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেলেও পুরো প্যানেল হেরে যায় । ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চ আন্দোলনেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১/১১ পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃ উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। মো. মঈনউদ্দিন মঈন সারা জীবন আদর্শিক রাজনীতি করেছেন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ সাবজেক্টে পড়ালেখা করেও জীবনে চাকুরীতে প্রবেশ করে নাই। গত তিন দশকের অধিককাল রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকলেও অর্থ বিত্তের লোভ কখনও তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। যে কারণে টাকার অভাবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি ছিলেন না। মানুষ তাকে ভালবাসে বলেই শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষে চাপে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে প্রার্থী হন। সরাইল -আশুগঞ্জের মানুষ তাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেখিয়েছিলেন। ফলাফলে ৩৫০০ ভোট বেশী পেয়ে এগিয়েও ছিল। jumana Tv. News 24, Somoy Tv সহ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের শিরোনামে ভাসতে থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জয়ী মো. মঈনউদ্দিন মঈন। হঠাৎ দলের একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রে ১২৫০০ ভোট ডাবল সিল মেরে নষ্ট করে দেয়ায় বিজয়ী হয়েও অল্প ভোটে হেরে যান।
আওয়ামী লীগ চতুর্থ বার ক্ষমতা আসে। এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারে থেকে দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু তিনি কখনও সন্ত্রাস, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির সাথে জড়িত ছিলেন না। যে কারণে দল বার বার ক্ষমতা আসলেও তাঁর ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। তারপরও দলের ভিতর স্বার্থন্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে বার বার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বুলি হয়েছেন। এরপরও অদর্শবিচ্যুত হননি। কোন কালেই ষড়যন্ত্র তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। সব সময় শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে রাজনীতির মাঠে গণ-মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। মানুষ হৃদয় থেকে ভালবাসে বলেই দলের দুঃসময়ে কঠিন পরিস্থিতেও অসীম সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

লেখক: লোক-সাহিত্যনুরাগী, রাজনীতিক কর্মী ও সংগঠক।

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com